বাংলাদেশে এখনো একটি প্রচলিত প্যাকটিস দেখা যায়:
কোন কর্মী যদি মাসে ৩ দিন দেরিতে অফিসে আসেন, তাহলে তার ১ দিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়, অথবা ১ দিনের ছুটি অ্যাডজাস্ট করা হয়।
এই নিয়ম আপনার প্রতিষ্ঠানে না থাকলেও, অনেক রিনাউন্ড কোম্পানি, এমনকি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে দেখা যায়।
যখন এই বিষয়ে কেউ HR ডিপার্টমেন্টে জানতে চান, তখন অনেকেই বলেন: এটা তো কোম্পানির নিয়ম, ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইন জানি না, আমরা ফলো করি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আসলেই কি এটি আইনসম্মত?
✅ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-১২৬ অনুযায়ী: যতটুকু সময় কর্মী দেরিতে কাজে যোগদান করবেন, কেবল ততটুকু সময়ের মজুরি কর্তন করা যাবে।
★ অর্থাৎ, মাসে ৩ দিন দেরি করলেই ১ দিনের বেতন কেটে নেওয়ার যে প্যাকটিস, তা আইনসম্মত নয়। 🧮 তাহলে কর্তনের হিসাব কীভাবে করবেন?
- ধরি, কর্মীর মূল বেতন: ৳৭,০০০
- অফিস টাইম: দিনে ৮ ঘণ্টা ⏱️
- তিন দিনে লেইট/দেরি করেছে ২ ঘণ্টা
Step-by-step:
- ৭,০০০ ÷ ৩০ = ১ দিনের মজুরি = ৳২৩৩.৩৩
- ২৩৩.৩৩ ÷ ৮ = ১ ঘণ্টার মজুরি = ৳২৯.১৬
- যদি কেউ ২ ঘণ্টা দেরি করে, তাহলে কর্তন হবে: ২ × ২৯.১৬ = ৳৫৮.৩২
🔹 কোনোভাবেই পুরো দিনের মজুরি কেটে নেওয়ার সুযোগ নেই, যদি না সে পুরোদিন অনুপস্থিত থাকে।
★ আর অনুপস্থিতির জন্য কর্তনের হিসাব করতে হবে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি-১১৫ অনুসারে।
📢 এই বিষয়টা HR পেশাজীবীদের জানানো জরুরি-
আইনের ব্যাখ্যা জানা না থাকলে, কোম্পানির প্রচলিত ভুল নিয়মই একসময় রীতি হয়ে যায়।